বর্তমানে বিশ্ব ক্রিকেটের তিন মোড়লের একটি ভারত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল থেকে শুরু করে ক্রিকেটের সর্বক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব ভারতের। ভারতের ক্রিকেটাররাও থাকেন ভীষণ ব্যস্ত। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একের পর এক সিরিজ খেলে যেতে হয় তাদের। যখন আন্তর্জাতিক সূচি থাকে না, তখন আবার ঘরোয়া ক্রিকেটে নেমে পড়তে হয় রোহিত-কোহলিদের।
এদিকে দেশের বাইরে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশ না নিলেও বেশির ভাগ সময়ই ব্যস্ত সময় কাটান ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তাদের তিন ফরম্যাটের দল আলাদা। তাই জাতীয় দলে নিয়মিত একসঙ্গে খেলার সুযোগ নেই ক্রিকেটারদের।
এ ছাড়া জাতীয় দলের বাইরে ঘরোয়া লিগগুলোতে বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই একে অপরের বিপক্ষে খেলে থাকেন। সে কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভারতীয় ক্রিকেটাররা একে অপরের বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন না। তবে কিছুদিন আগে এমন একটি মন্তব্য করে বেশ সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। এবার তার ব্যাখ্যা দিলেন এই ক্রিকেটার।
এদিকে ভারতীয় এই অলরাউন্ডার বলেন, 'আমি যেটা বলেছিলাম আর সবাই যা বুঝেছিল, সেটা সম্পূর্ণ আলাদা। আমি বলতে চেয়েছিলাম যে আগে এক একটা সিরিজ অনেক বেশি দিন ধরে চলত। তাই বন্ধুত্ব হওয়ার সুযোগ বেশি থাকত। এখন আমরা সব সময় খেলে যাচ্ছি। তিন ধরনের ক্রিকেট খেলছি। কোথাও আবার একে অপরের বিপক্ষে খেলছি। তাই বন্ধু হওয়া খুব কঠিন। মাঠে লড়াই করতে হলে সেই মানসিকতাটাও প্রয়োজন হয়। তাই বন্ধু হওয়া যায় না।’
অশ্বিনের মতে, ভারতীয় দলে বন্ধু না হওয়ার অন্যতম কারণ আইপিএল। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেন অশ্বিন। ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা খেলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে। বিরাট কোহলি খেলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে। সবাই আলাদা আলাদা দলের হয়ে খেলার কারণে বন্ধুত্ব হয় না বলে মনে করেন অশ্বিন।
তিনি আরও বলেন, 'আইপিএলে তিন মাসের জন্য ভারতীয় দলের সতীর্থরা হয়ে যায় প্রতিপক্ষ। এত বেশি অন্য দলের হয়ে খেললে বন্ধু হওয়া কঠিন। তবে একেবারেই যে বন্ধুত্ব হয় না, সেটা বলা ভুল। কিন্তু হওয়াটা কঠিন। এখন তো এটাই স্বাভাবিক নিয়ম হয়ে গিয়েছে। এতে নেতিবাচক কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।’